আমরা অনেকসময় হঠাৎ হঠাৎ পেটে ব্যাথা অনুভব করি, ডক্টরের কাছে যেতে তিনি বলেন তেমন কিছু হয় নি, কিন্তু সারাক্ষন শরীরের মধ্যে কেমন একটা অসস্তি হয়। এটি আর কিছু নয় কৃমির জন্যই হয়।তবে শুধু পেটে ব্যাথাই নয় আমাদের শরীরে যে কৃমি বাসা বেঁধে আছে সেটা জানার আরো কতগুলো লক্ষণ আছে। চলুন জেনে নিই।
লক্ষণগুলি হলো :
১. মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছা।
২. ত্বকের রোগে অ্যাকনে, চুলকানি তে আক্রান্ত হওয়া।
৩. মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
৪. ঘুমানোর সময় মুখ থেকে লালা পড়া।
৫. খিদে না পাওয়া।
৬. অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
৭. নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
৮. গা, হাত, পা ব্যাথা।
৯. অস্থিরতা ও অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা।
১০. মেযেদের মেনস্ট্রুয়াল সমস্যা।
সমীক্ষা বলেছে ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটে কৃমি থাকে কিন্তু জানেন কি কিভাবে মুক্তি পাবেন এই কৃমির সমস্যা থেকে ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক আব্রাম বের জানিয়েছেন, শুধু ওষুধই নয় কিছু ঘরোয়া উপায়ও কৃমি থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নিই কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লবঙ্গ : এটি কলেরা ও ম্যালারিয়ার মতো কঠিন অসুখ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। রোজ সকালে খালিপেটে লবঙ্গ ভেজানো জল খান এটি আমাদের শরীরকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে আমাদের রক্ষা করে।
শশার বীজ : কৃমি থেকে মুক্তি পেতে শশার বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে শশার বীজকে গুঁড়ো করে নিন ও রোজ সকালে ১ চামচ করে খান।
পেঁপে : কৃমির সমস্যায় পেঁপের থেকে ভালো কিছু হয় না। যে কোনো ধরণের কৃমি তাড়াতে পেঁপের বীজ খুব কার্যকরী। বেশি ভালো ফল পেতে পেঁপে ও মধু একসাথে খেতে পারেন।
কাঁচা হলুদ : এটি অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে, যা আপনাকে কৃমি থেকে মুক্তি দেবে।
অদা : অদা হজমের সমস্ত রকমের সমস্যা মেটাতে দারুন ভূমিকা পালন করে। হজমের সমস্যা, এসিডিটি, পেটে ইনফেকশন ইত্যাদি থেকে কৃমির সৃষ্টি হয়। এইসবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা আদার রস খান ও কৃমি থেকে রেহাই পান।
কাঁচা রসুন : রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। জানেন কি রসুন প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলতে সাহায্য করে, তাই প্রতিদিন কাঁচা রসুন খান ও কৃমি থেকে মুক্তি পান।
বন্ধুরা এটি থেকে যদি আপনার জীবনের কোনো উপকার হয় থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট করে আমায় জানাবেন ও উপভোটে করে আমায় উৎসাহিত করবেন।