গত ১১ বছর ধরে টপিকের অারেক নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। খবরের পত্রিকার প্রথম পাতায় রোনালদো - মেসি ব্যাতিত অন্য কেউ খুব কম সময়েই জায়গা করে নিতে পেরেছেন। ফুটবল প্রসঙ্গ আসলে প্রথম যে দুইটি নাম আসে সেটি হচ্ছে মেসি - রোনালদো। তাদের নাম তো আসার ই কথা! গত এগারো বছরে তারা যত কীর্তি গড়েছেন তা অনেকেরও কল্পনার বাহিরের। গত দশ বছরের যতগুলো এওয়ার্ড ছিল তার বেশিরভাগ ই যে তাদের দুজনের দখলে। ১১ টি ব্যালন ডি ওর এর ১০ টি ই ভাগ করে নিয়েছেন তারা দুজনে। তাছাড়া বার্সা - রিয়াল দ্বৈরথ কে তারা দুজন নিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। এ বছর রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চলে যাওয়াতে বার্সা রিয়াল দ্বৈরথ কিছুটা কমে গেলেও কমেনি রোনালদো - মেসি দ্বৈরথ। তাদের দ্বৈরথ এখনো রয়েছে পূর্বের মতই। তারা দুজন এখন ভিন্ন লীগের খেলোয়াড় হলেও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিড় ধরেনি একটুখানিও। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়ে গিয়েছে ঠিক আগের মতই।
প্রতিবারের মত এবারও জমে উঠেছ ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বলের প্রতিযোগিতা। বরাবরের মত এবার আর দুটি নাম শুনা যাচ্ছেনা, এবার শুনা যাচ্ছে তিনটি নাম। তাদের দুজনের মাঝখানে জায়গা করে নিয়েছেন একটি বিস্ময় বালকের নাম। তিনি আর কেউ নন, বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় কিলিয়ান এম্বাপ্পে। রোনালদো - মেসি যেমন তাদের নিজ নিজ লীগে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছেন ঠিক তেমনি কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রাজ করে বেড়াচ্ছেন লীগ - ১ এ। ২২ গোল নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন লীগ - ১ এর সর্বোচ্চ গোলকারীর তালিকায় এবং ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং লিওনেল মেসি বরাবরের মতই লা-লিগা ও ইরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবেই রয়েছেন। তিনি গোল করেছেন মোট ২৫ টি। এবং সিরি - এ তে ১৯ গোল করে ইতালীয় লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন রোনালদো এবং ইউরোপের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাদের প্রত্যেকেই আরও ১৩ টি করে ম্যাচ খেলতে পারবেন তবে এম্বাপ্পে খেলতে পারবেন শুধু ১২ টি ম্যাচ। রোনালদো তাদের দুজনের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও স্বস্তিতে নেই তারা দুজন। কেননা প্রতিবারই লীগের শেষ দিকে রোনালদো ঝড়ে সবকিছুই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তিনি পাল্টে দেন সকল সমীকরণ এবং লিডারবোর্ডে নিজের নাম লিখিয়ে নেন। এবারও দর্শকরা সেরকম কিছুরই দেখার অপেক্ষায়।