মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় এক ওক গাছ কাটতে গিয়ে চমকে ওঠেন কাঠচেরাই কর্মীরা। সেই বিশাল গাছেরগুঁড়িতে মমি অবস্থায় রয়েছে এক জন্তু। প্রাথমিক বিস্ময় কাটিয়ে দেখা যায়, জন্তুটিকে মমি অবস্থায় বিচিত্র দেখালেও সেটি একটি কুকুর ছাড়া আর কিছুই নয়। জানা যায়, এক রেকুনকে ধাওয়া করে কুকুরটি সেই গাছের ভিতরে ঢুকে যায় এবং তার পরে আর বেড়িয়ে আসতে পারেনি।এমন আশ্চর্য ঘটনার স্মৃতিকে মানুষের সামনে জিইয়ে রাখতে গুঁড়ি সমেত কুকুরটিকে জর্জিয়ার ফরেস্ট ওয়ার্ল্ড ট্রি মিউজিয়ামে এগজিবিট হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। তার নাম দেওয়া হয় ‘স্টাকি’।২০ বছর ধরে কুকুরটির দেহ গাছের গুঁড়ির ভিতরে থেকেযায়। না, তার দেহে কোনো পচন তো ধরেইনি, উলটে তার দেহএকটি মমিতে পরিণতি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওক গাছের ফাঁপা গুঁড়িতে বাতাসের প্রবেশ কম।তার ওপরে ওক গাছ নিজের গা কীটের কবল থেকে রক্ষা করতে এক রকমের রাসায়নিকের নিঃসরণ ঘটায়। এই সব কারণেই কুকুরটির মমির দশা।বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ১৯৬০-এর দশকে অর্থাৎ ঘটনা ১৯৮০ সালের। সে সময় কুকুরটি গাছের গুঁড়িতে ঢুকে পড়েছিল। কোনো খুদে জন্তু, সম্ভবত রেকুনকে, তাড়া করতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে।