কিশোর কুমার ভারতীয় সংগীত জগতের এক বিশাল নাম।প্রথাগত সংগীত শিক্ষা না থাকলেও যে শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হওয়া যায় সম্পূর্ণ নিজের অধ্যবসায় ও ইচছা শক্তির গুণে,কিশোর কুমার তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।কিশোর কুমারের পোশাকি নাম আভাস কুমার গাঙ্গুলি।কিশোর কুমারের বাবার নাম ছিল কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি।পেশায় তিনি একজন উকিল ছিলেন কিন্তু রসবোধ ছিল ভীষণ মাত্রায়।কথিত আছে তিনি নাকি আদালতে বিচার চলাকালীন ও চারিপাশের পরিবেশ বেশ হাস্যরসে ভরিয়ে রাখতেন।কিশোর কুমারের বড়দাকে কে না চেনে।এক সময়ের বলিউড কাঁপানো নায়ক অশোক কুমার।যিনি তার অনবদ্য অভিনয়ের গুনে অমর হয়ে আছেন সিনেমাপ্রেমী মানুষদের মাঝে।আজকে আমি কিশোর কুমারের প্রতিভা সম্পর্কে প্রচলিত একটি ছোট গল্প বলবো।
তখন অশোক কুমার খুব নামকরা বলিউডের নায়ক।সিনেমা জগতের সব বড় বড় মানুষদের সাথে তার উঠাবসা।এমন একদিন শচীন কর্তা কোনো একটি > বিশেষ কাজে অশোক কুমারের বাড়ি এসেছেন।শচীন কর্তা তখন বলিউডের সংগীত জগতের শেষ কথা।দুজনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নানা কথা চলছে।সাথে গল্প হাসি এক প্রকার দারুণ আড্ডা চলছে।হঠাৎ শচীন দেব বর্মন একটি গান শুনতে পেলেন।কিছুক্ষণ শুনে তিনি রেগে গিয়ে বললেন,"কি ব্যাপার অশোক,তুমি আমার টেপ রেকর্ডার টা এখনো ফেরত দাওনি?এখনো তুমি নিজের কাছে রেখেছো আবার গান ও শুনছো?"
অশোক কুমার একটু অবাক হয়ে বললেন ,"আমি তো সেটা কয়েকদিন আগেই আপনার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।"এ কথা শুনে শচীন কর্তা আরো বিরক্ত হলেন আর বললেন যে তাহলে এই গান কোথা থেকে আসছে।আমার সাথে তুমি মজা করছো।টেপ রেকর্ডার এ এই গানটি ও ছিল।
তখন অশোক কুমার ব্যাপার টা বুঝতে পারেন।তিনি তখন শচীন কর্তাকে বুঝিয়ে বলেন পুরো ব্যাপারটা।যে গানটা শচীন দেববর্মন শুনতে পারছিলেন সেটা আসলে কিশোর কুমার গাইছিলেন।কিন্তু এতো নিখুঁত যে সেটা একদম রেকর্ড করা গানের মতোই ছিল।সব টা শুনে শচীন বিস্মিত হয়ে গেলেন।দেখা করলেন কিশোর কুমারকে।এরপর ইতিহাস রচনা হলো।শচীন দেববর্মন কিশোর কুমারকে সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করান।এরপর ঠিক যেন ,এলেন দেখলেন এবং জয় করলেন।
এমনই অসাধারণ গানের গলা ছিল কিশোর কুমারের।কিন্তু ছোট বেলায় তার গলা একদমই ভালো ছিলো না।কর্কশ গলা ছিল।কিন্তু একদিন কোনো কারণে সারাদিন কান্না কাটি করেছিলেন।তারপর থেকেই নাকি তার গলা সুরেলা হয়ে যায়।যদিও এই ঘটনা প্রমান সাপেক্ষ।
ধন্যবাদ।।
Congratulation!
Your post has been manually curated by @zrss.